বোর্ডের দেওয়া শেষ নোটিশ অনুযায়ী খাতা দেখার দায়িত্বে থাকা সব পরীক্ষককে মাধ্যমিকের খাতাগুলো ভালোভাবে খুঁটিয়ে দেখে নম্বর দিয়ে সেগুলো প্রধান পরীক্ষকের কাছে জমা দেওয়ার জন্য তৈরী থাকতে বলা হয়েছে। লকডাউন পরিস্থিতিতে ছাড় পাওয়া গেলেই দায়িত্বপ্রাপ্ত পরীক্ষকরা খাতাগুলো প্রধান পরীক্ষকের কাছে জমা দেবে।
তবে শুধু খাতা দেখা শেষ হলেই তো হবে না এরপর রেজাল্ট তৈরী করতেও আরও কিছুটা সময় লাগবে। সবমিলিয়ে জুলাই-আগস্টের আগে রেজাল্ট বেরোনো মুশকিল। অবশ্য বর্তমান পরিস্থিতিতে কোনো কিছুই আগে থেকে আন্দাজ করা সম্ভবও নয়।
রেজাল্ট বেরোলে, নিচের ওয়েবসাইটগুলোতে check করা যাবে
পরবর্তী
পরীক্ষার্থীদের
জন্য
মাধ্যমিক
পরীক্ষায়
সফলতার
কিছু
টিপস
:
মাধ্যমিক পরীক্ষা ! বলতে গেলে একটি ছাত্রের জীবনের প্রথম "বড় পদক্ষেপ"। "বড় পদক্ষেপ " কারণটা হলো প্রথম অন্য স্কুলে গিয়ে বোর্ডের প্রশ্নে পরীক্ষা দেওয়া। এছাড়াও এর ওপরে নির্ভর করে ছাত্রটি পরবর্তীকালে (একাদশ ,দ্বাদশ ও কলেজ জীবনে ) কি নিয়ে পড়াশোনা (কলা ,বানিজ্য ,বিজ্ঞান বিভাগ )করবে। এই "বড়"পরীক্ষার প্রস্তুতিটাও"বড়" হওয়া উচিত। তাই আমি আগামীবর্ষের মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের জন্য কিছু টিপস তুলে ধরতে চাই,যা অনুসরণ করে অন্তত আমি সুফল পেয়েছি।
উপায়-১: বাংলার ক্ষেত্রে বলবো যে গল্প ,কবিতাগুলি তোমাদের পাঠ্য বিষয়ে আছে ,সেগুলি বারবার করে পড়ে মূল বক্তব্য কি তা বোঝার চেষ্টা করো। তারপর তাকে নিজের মতো সাজিয়ে নাও ,আর তারপর তাকে নিজের ভাষায় লেখো। বাংলা লেখার ক্ষেত্রে "ভাষার ওপর দখল " থাকাটা খুব জরুরি।যা বাংলা সহায়িকা লাইন-বাই-লাইন মুখস্থ করলে আসে না,কোনো গল্পের বই ,রচনাসামগ্রী বা কোনো জীবনী এমনকি রোজ সংবাদপত্র পাঠের মাধ্যমেও তৈরী হয়।
যখনই দেখবে তোমার লেখাটা দীর্ঘ হয়ে যাচ্ছে তখন para করে নেবে। যখন নম্বরের ভাগ থাকবে (যেমন ১+২বা ২+১) তখন "।=।" চিহ্নটি দুটি ভাগের শুরুতে দেবে ,এটা দুটি ভাগকে বোঝাবে। গল্প বা কবিতার ক্ষেত্রে গল্পের বিশেষ উদ্ধৃতি বা কবিতার লাইন তুলে ধরবে। এতে নম্বর বাড়বে। এই উদ্ধৃতি বা কবিতার লাইনগুলি অব্যশই কালো কালিতে লিখবে ,যাতে তা নজরে পড়ে।
উপায় ২: এবার আসা যাক ইংরাজীর কথায়। এক্ষেত্রেও prose ও poem-গুলি মন দিয়ে পড়বে ও মূল concept -টা বুঝবে। এখানে unseen থাকে তাই পরীক্ষার হলে সময় হাতে নিয়ে বারবার মন দিয়ে unseen পড়বে। এক্ষেত্রে সহজ ইংরেজি শব্দ ব্যবহার করে নিজের মনের ভাব উত্তরের মাধ্যমে প্রকাশ করতে পারো। কারণ এটা তো মানতে হবে যে ,একটা কঠিন ইংরেজি শব্দ লিখতে গিয়ে ভুল হবার চেয়ে ওই একই অর্থ প্রকাশকারী সহজ ইংরেজি শব্দ লেখা ভালো আর safe.এমনটা মোটেই নয় কঠিন কঠিন ইংরেজি শব্দ লিখলেই নম্বর বেশি পাওয়া যায়। বাংলার ক্ষেত্রে যে উদ্ধৃতি ও কবিতার লাইন তুলে দেবার কথা বলেছিলাম ইংরাজীর ক্ষেত্রেও তা করতে পারো।
উপায়-৩: এবার বিজ্ঞান নিয়ে বলি।বিজ্ঞানে তোমার পুরোপুরি বিষয়টা বোঝার ওপর depend করছে।এখানে বলবো কোনো কিছুর বৈশিষ্ট লিখতে বলা হলো ২ নম্বরের একটি প্রশ্নে ,তখন তোমাকে ৪টি point লিখতে হবে।এক্ষেত্রে প্রতিটি point ১/২ marks carry করছে বলে ধরে নিতে হবে।তেমনি প্রশ্নটা ৩ নম্বরের হলে ৬টি point লিখতে হবে (অবশ্য বেশি point না জানা থাকলে অযথা point বাড়িয়ে লাভ নেই)।
উপায় -৪: "পার্থক্য" লেখার সময় ৩টি column -এ ভাগ করে নিতে হবে।For
example-
প্রশ্ন: উদ্ভিদ কোষ ও প্রাণী কোষের মাইটোসিস কোষ বিভাজনের পার্থক্য লেখো।
উ :উদ্ভিদ কোষ ও প্রাণী কোষের মাইটোসিস কোষ বিভাজনের পার্থক্য :
বিষয়
|
উদ্ভিদকোষের মাইটোসিস
|
প্রাণীকোষের মাইটোসিস
|
১.
|
১.
|
১.
|
২.
|
২.
|
২.
|
৩.
|
৩.
|
৩.
|
একটা পার্থক্যের set up টা এইরকম হওয়া উচিত। এক্ষেত্রে 3 নম্বরের জন্য 6 টি point ,
2 নম্বরের জন্য 4 টি পয়েন্ট
উপায়-৫: Life scienceএর জন্য "চিত্র অঙ্কন "এর সময় চিত্রটি artistically কতটা perfect তার থেকে scientifically কতটা perfect তার দিকে নজর দিতে হবে।আবার আঁকার সময় চিহ্নিত করতে গিয়ে সব ছড়িয়ে-ছিটিয়ে চিহ্নিত না করে ,আঁকার ডান দিকে একটা লম্বা উলম্ব লাইন টেনে arrow দিয়ে চিহ্নিতকরণ করতে হয়।
উপায়-৬:অঙ্ক করে বার বার মেলাবে ,পরীক্ষার হলে কোনো অঙ্ক করেই চট করে তা একবার মিলিয়ে নেওয়া উচিত।পরে সব একসাথে মেলাতে গেলে যদি ভুল বের হয় ,তবে আবার শেষ সময়ে অঙ্কটা শুরু থেকে করাটা অসুবিধার হয়ে যাবে।তাই be
careful.
উপায় -৭: ইতিহাসের ক্ষেত্রে বলবো ভালো নম্বর তোলাটা তুলনামূলকভাবে কঠিন।ইতিহাস বইয়ের যত সাল-তারিখ আছে সব এক জায়গায় করে ফেলো।দুটি column-এ ভাগ করো।একদিকে থাকবে সাল আর অন্যদিকে থাকবে সেই সময়ের উল্লেখযোগ্য ঘটনা।এতে বার বার বই খুলে মুখস্থ করতে হবে না ,আর সব এক জায়গায় থাকলে বিষয়টা নিমেষে আয়ত্তে চলে আসবে।
কোনো প্রশ্নের উত্তর লেখার সময় অবশ্যই তার heading দেবে।পারলে বিষয়টি কয়েকটি subpoint-এ divide করে নেবে।এতে marks ভালো পাওয়া যায়।
উপায়-৮: কোনো জিনিসকে রচনার মতো লিখে বাড়িয়ে যা marks পাওয়া যায় ,তার চেয়ে আরও বেশি marks
পাওয়া যায় ,যদি বিষয়টিকে কতগুলি
points (১,২,৩,........),ছক বা diagram-এর মাধ্যমে উপস্থাপন করা যায়।এই মন্ত্রগুলি
Geography-তেও কাজে লাগতে পারে।
সব শেষে বলবো পড়াশোনা একটি সাধনা। এটি যে যত dedication দিয়ে করতে পারবে সে ততই ভালো ফল পাব। তাই friends best of luck!!!
0 Please Share a Your Opinion.: