Thursday, 2 April 2020

পা ফুলতে শুরু করা মানেই কি কিডনির সমস্যা ? / Is swelling of legs (edema) means kidney problem ?

[* Disclaimer : This article is not a doctor's suggestion. Whole article is written on the basis of personal experience of a patient.]

হঠাৎ পা ফুলতে শুরু করা মানেই কি কিডনির সমস্যা ?

আমাদের অনেকেরই একটা বাজে স্বভাব আছে যে শরীরে কোনো রোগ বা সমস্যা হলে প্রাথমিক অবস্থায় সেটাকে বেশি গুরুত্ব দিই না। অনেকসময় পাড়ার ওষুধের দোকানে জিজ্ঞেস করে ওষুধ খেয়ে নিয়ে রোগটাকে কিছু দিনের জন্য ধামাচাপা দিই যার ফলে বেশিরভাগক্ষেত্রেই রোগ তো পাকাপাকিভাবে সারেই না উল্টে পরবর্তীকালে আরও বড়ো সমস্যা নিয়ে ডাক্তারখানায় যেতে হয়। 

যাইহোক প্রসঙ্গে ফিরে আসি, নিজস্ব অভিজ্ঞতা থেকে দেখেছি হঠাৎ কারোর পা ফুলতে শুরু করলে পরিচিতরা বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ধরেই নেয় যে কিডনি খারাপ হয়ে গেছে। হ্যাঁ একথা সত্য যে কিডনির সমস্যা হলে পা ফোলে, তার মানে এই নয় যে পা ফুলে যাওয়া মানেই কিডনি খারাপ হয়ে গেছে।আর কিডনির কোনো সমস্যা হলেই যে জীবন শেষ হয়ে গেল এমনটা কিন্তু নয়।  প্রাথমিক অবস্থায় কিডনির কোনো সমস্যা ধরা পড়লে ওষুধ এবং নিয়ন্ত্রিত জীবনযাত্রা দ্বারাই কিডনি আবার তার আগের কার্যক্ষমতা ফিরে  পেতে পারে এবং আপনিও সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে উঠতে পারেন।  কিডনি কেমন আছে তা জানার প্রাথমিক উপায় হল রক্তে ইউরিয়া ক্রিয়েটিনিন পরীক্ষা। এই পরীক্ষাটি সাধারণত খালি পেটে করতে হয়।

কি কি কারনে হঠাৎ পা ফুলতে পারে ?

শরীরের কোনো অংশ ফুলে যাওয়াকে চিকিৎসাবিজ্ঞানের ভাষায় "এডেমা" বলে।এডেমাকে ঠিক রোগ বলা চলে না বরং এটিকে  শরীরের অন্য কোনো রোগের লক্ষণের প্রকাশ বলা যেতে পারে। আর "এডেমা" বিভিন্ন কারণে হতে পারে যেমন:
·         কিডনির সমস্যা
·         শরীরে কোথাও ইনফেকশন
·         চোট
·         প্রেগন্যান্সি
·         হার্টের সমস্যা
·         লিভারের সমস্যা
·         প্যানক্রিয়াটাইটিস
·         মূত্রনালির সমস্যা
·         সেলুলাইটিস
·         ফাইলেরিয়াসিস
·         থ্রোম্বসিস
·         রক্তে প্রোটিনের (অ্যালবুমিন) মাত্রা কমে যাওয়া
·         রক্তে সোডিয়ামের মাত্রা বেড়ে যাওয়া
এমনকি কোনো ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াসহ আরো বিভিন্ন কারণে এডেমা হতে পারে।


হঠাৎ পা ফুলতে শুরু করলে কি করা উচিত?

পায়ে কোনো চোট আঘাত লাগলে আলাদা কথা নচেৎ দেরি না করে শীঘ্রই ডাক্তারবাবুর পরামর্শ নেওয়া উচিত। এক্ষেত্রে সবচেয়ে আগে একটি ব্যাপার লক্ষ্যণীয় যে প্রস্রাব ঠিকমতো হচ্ছে কিনা বা প্রস্রাবে অতিরিক্ত ফেনা হচ্ছে কিনা। কয়েকটি প্রাথমিক পরীক্ষা যেমন ব্লাড সুগার, ইউরিয়া, ক্রিয়েটিনিনঅ্যালবুমিন হিমোগ্লোবিন এই কয়েকটি পরীক্ষা করে নিয়ে ডাক্তারবাবুর কাছে গেলে ডাক্তারবাবুর চিকিৎসা করতে একটু সুবিধা হয়, অবশ্য ডাক্তারবাবুর কাছে গেলে তিনি তো অবশ্যই সবকিছু বিবেচনা করে পরীক্ষা করতে বলবেন এবং চিকিৎসাও শুরু করবেন।

পা ফোলা (এডেমা) কমানোর উপায় কি?
এডেমা কমানোর জন্য ডাক্তারবাবুরা এডেমার  জন্য দায়ী আসল রোগটি সারানোর পাশাপাশি সাধারণত ডাইইউরেটিক ট্যাবলেট (সাধারণত Furosemide বা Torsemide গোত্রের ওষুধ ) দিয়ে থাকেন। তবে ডাইইউরেটিকের কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াও রয়েছে যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো ডিহাইড্রেশন, রক্তে সোডিয়ামের মাত্রা কমে যাওয়া, অনিয়ন্ত্রিত হৃদস্পন্দন, চামড়া শুকিয়ে যাওয়া ইত্যাদি। শরীরে প্রোটিনের মাত্রা যদি কমে গিয়ে থাকে তাহলে ডাক্তারবাবুর পরামর্শমতো অবশ্যই প্রোটিন জাতীয় খাদ্য প্রোটিন সাপ্লিমেন্ট খাওয়া জরুরি। মনে রাখবেন শুধু ওষুধ খেলেই যে রোগ তাড়াতাড়ি ভালো হয়ে যাবে এমনটা নয়, ওষুধের পাশাপাশি উপযুক্ত পথ্যও জরুরি। আর এডেমার  জন্য দায়ী আসল রোগটা যত তাড়াতাড়ি নিয়ন্ত্রণে আসবে তত  তাড়াতাড়ি ফোলা কমে যাবে।

হঠাৎ পা ফুলে গেলে প্রথমে কোন বিশেষজ্ঞের কাছে যাবো ?

অধিকাংশ রোগই প্রাথমিক অবস্থায় ধরা পড়লে তা থেকে সম্পূর্ণ সেরে ওঠা সম্ভব। কিন্তু অনেকসময় রোগ নির্ণয়েই অনেক দেরি হয়ে যায়। তাই পা ফোলার পাশাপাশি আপনার শরীরের আর কোথায় সমস্যা হচ্ছে সেটা খেয়াল করুন। ধরুন প্রস্রাব ঠিকমতো হচ্ছে না তাহলে আগে ইউরিয়া, ক্রিয়েটিনিন পরীক্ষা করান যদি রক্তে ওগুলির মাত্রা ঠিক থাকে তাহলে ইউরোলজিস্টের (মূত্ররোগ বিশেষজ্ঞ) কাছে যান অন্যথায় নেফ্রোলজিস্টের (কিডনি রোগ বিশেষজ্ঞ) কাছে যান,আবার পেটের বাঁদিকে যদি ব্যাথা অনুভব করেন বা হজমের সমস্যায় ভোগেন তাহলে গ্যাস্ট্রোএন্টেরোলজিস্টের (পেটের রোগ বিশেষজ্ঞ) পরামর্শ নিন, বুকে ব্যাথা হলে কার্ডিয়োলজিস্টের (হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ) কাছে যান।  আবারও  বলছি এডেমাকে কিন্তু ঠিক রোগ বলা চলে না বরং এটি অন্য কোনো রোগের বহিঃলক্ষণ মাত্র। পা ফোলার পাশাপাশি শরীরে আর কোথায় কি সমস্যা হচ্ছে সেটা খেয়াল করুন এবং অবশ্যই ভালো কোনো বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন। তাই হঠাৎ পা ফুলতে শুরু করলে একদম অবহেলা করবেন না, তাড়াতাড়ি চিকিৎসা করান তাহলে অবশ্যই সেরে উঠবেন, অন্যথায় শরীরের অপূরণীয় ক্ষতি হয়ে যেতে পারে।
আর একটা গুরুত্বপূর্ণ কথা, কোনো অবস্থাতেই  মনের জোর হারাবেন না। আজকাল অনেক রোগী মারণরোগকেও জয় করে ফেলছেন। তাই চিকিৎসা ব্যবস্থা নিয়ন্ত্রিত জীবনযাত্রা দ্বারা অধিকাংশ রোগকেই জয় করা সম্ভব। এটা শুধু আমার কথা নয়, একটু খোঁজখবর করলে আপনিও নিজেই জানতে পারবেন।

1 comment:

  1. Do you need Finance? Are you looking for Finance? Are you looking for finance to enlarge your business? We help individuals and companies to obtain finance for business expanding and to setup a new business ranging any amount. Get finance at affordable interest rate of 3%, Do you need this finance for business and to clear your bills? Then send us an email now for more information contact us now via financialserviceoffer876@gmail.com whats-App +918929509036 Dr James Eric Housing Finance Pvt Ltd Thank

    ReplyDelete