মায়াপুর ইসকন ভ্রমণ সম্পর্কিত কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ তথ্য :
* কলকাতা, হাওড়া বা হুগলির বাসিন্দা হলে কাটোয়া লাইনের ট্রেনে চেপে মায়াপুর যাওয়াটাই সুবিধাজনক। এছাড়া কৃষ্ণনগরের দিক দিয়েও মায়াপুর যাওয়া যায়।
* নবদ্বীপধাম রেলস্টেশনের বদলে বিষ্ণুপ্রিয়া স্টেশনে নামলেই মায়াপুর যাওয়া সুবিধাজনক।
* বিষ্ণুপ্রিয়া স্টেশনের কাছেই নবদ্বীপ ফেরিঘাট যাওয়ার জন্য অনেক টোটো / ভ্যান পাওয়া যায়, ভাড়া ১০ টাকা (অনেকে বেশি ভাড়াও চেয়ে বসে)।
* নবদ্বীপ ফেরিঘাট থেকে মায়াপুর যাওয়ার জন্য নৌকো (ভাড়া ৩ টাকা) ও লঞ্চ (ভাড়া ৭ টাকা) দুইই পাওয়া যায়। তবে ভাগীরথী-জলঙ্গি সঙ্গম (যেখানে ঘোলা-সবুজ জল মিশেছে) দেখতে চাইলে লঞ্চে যেতে হবে।
* মায়াপুর ঘাট থেকে ইসকন মন্দির হেঁটে প্রায় মিনিট কুড়ি। তবে সকালে রোদের মধ্যে না হেঁটে বাস / টোটোয় (ভাড়া ১০ টাকা, বেশিও চাইতে পারে) চেপে মন্দিরে যাওয়াটাই ভালো।
* ইসকন মন্দিরে ঢুকে প্রথমেই ভোগের কুপন কেটে নেওয়াটা ভালো (বেলা১২ টা অবধি কুপন পাওয়া যায়)।
* গদা ভবন ( ভোগ ৭০ টাকা), গীতা ভবন (ভোগ ৫০ টাকা), সুলভ প্রসাদ কক্ষ ( ভোগ ৩০ টাকা) এই সমস্ত স্থানে ভোগ খাওয়ানো হয়। নীচের ছবিতে বিভিন্ন স্থানের ভোগের মেনু ও মূল্য দেওয়া হলো।
* প্রতিটি ভবনেই পেটভরে ভোগ খাওয়ানো হয়। ভবনগুলির পাশের জমিতেই বিভিন্ন সব্জি চাষ হয়, তাই এত কম মূল্যে এত ভালো খাবার খাওয়ানো সম্ভব হয়।
* শ্রীল প্রভুপাদ পুষ্প সমাধি মন্দিরে যেতে হলে ব্যাগ, জুতো, মোবাইল কাউন্টারে জমা রেখে যেতে হবে (অথবা একসাথে সবাই না গিয়ে, দুটো দলে ভাগ হয়ে একদলের দায়িত্বে জিনিসপত্র রেখে অন্যদল মন্দিরের ভিতরে প্রবেশ করে দেখে আসতেই পারে)।
* শ্রীল প্রভুপাদ পুষ্প সমাধি মন্দিরের দোতলায় একটি আধ্যাত্মিক মিউজিয়াম রয়েছে, প্রবেশমূল্য ১৫ টাকা)
* শ্রীল প্রভুপাদ পুষ্প সমাধি মন্দিরের ভিতরে ও বাইরে বিক্রি হয় রাধাকৃষ্ণের ছবি ও বিভিন্ন স্মারক। যদিও বাইরেও এসব পাওয়া যায়। তফাৎ বলতে, ভিতরে একদর আর বাইরে দরদাম করা যাবে।
* শ্রীল প্রভুপাদ পুষ্প সমাধি মন্দিরের বাইরেই প্রসাদ (কেক, লাড্ডু ইত্যাদি) কিনতে পাওয়া যায়।
* মায়াপুর ইসকন চত্বরে আরেকটি দেখবার মতো জায়গা হলো 'গোশালা'। এখানে বিভিন্ন প্রজাতির অনেক গরু রয়েছে আর গোশালার বাইরেই রয়েছে বিভিন্ন গো পণ্যের দোকান।
* এছাড়া রয়েছে 'আধুনিক' গরুর গাড়ি (ভাড়া ১০ টাকা), যাতে চেপে মন্দির চত্বরে ঘোরা যায়। মন্দির চত্বরে ঘোরার জন্য গরুর গাড়ি ছাড়া টোটোও রয়েছে।
* মায়াপুর ইসকন মন্দিরে হাতি থাকলেও, তাদের দেখা পাওয়া ভাগ্যের ব্যাপার।
* মায়াপুর ইসকন ঘোরার পর যদি কেউ ওইদিনেই কাছাকাছি অন্য কোনো জায়গায় যেতে চান, তাদের জন্য দুটি জায়গা হলো 'বল্লাল ঢিপি' ও 'চুপি কাষ্ঠশালী পাখিরালয়'।
* বল্লাল ঢিপি মায়াপুরেই একটি গ্রামের মধ্যে অবস্থিত। ইসকন মন্দির থেকে টোটো ভাড়া ২০ টাকা। ইসকন থেকে বল্লাল ঢিপি দেখে আবার ইসকনেই ফিরে এসে সময় কাটাতে পারেন।
* যেহেতু পাখি দেখার আদর্শ সময় সকালবেলা তাই চুপি কাষ্ঠশালী পাখিরালয় যেতে হলে খুব সকাল সকাল পূর্বস্থলী স্টেশনে (বিষ্ণুপ্রিয়ার একটি স্টেশন পরেই) গিয়ে গন্তব্যে পৌঁছে যেতে হবে। ওখান থেকে মায়াপুর ইসকনে আসতে হবে (সেক্ষেত্রে ভোগ খাওয়ার বাসনা ত্যাগ করতে হবে)। কারণ ইসকনে আপনি সন্ধ্যা না রাত অবধিও সময় কাটাতে পারবেন কিন্তু দুপুর বা বিকেলের দিকে পাখিরালয় গিয়ে বেশিক্ষন সময় কাটাতে পারবেন না।
* বিকেল বা সন্ধ্যার দিকে ইসকন থেকে মায়াপুর ফেরিঘাট যাওয়ার পথটুকু হেঁটে ফিরতে পারেন। মিনিট কুড়ি সময় লাগবে, কিন্তু পথে বিভিন্ন মন্দির, মঠ ও হরেক রকম জিনিসের দোকান পাবেন।
Great Article. Thank you for providing such a unique and valuable information to your readers. I really appreciate your work.If you require about Company name regstration in delhi | Company registration cost in delhi please click on it.
ReplyDelete